ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস তাদের আরও ১২ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং মুক্তির পর তারা গাজা ছেড়ে ইসরায়েলে এসে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে দুইজন থাই নাগরিক আছেন।
অন্যদিকে, দেশটির কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ইসরায়েল থেকেও ৩০জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর আগে আরও দেড়শো ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন যাদের বেশিরভাগই কিশোর ও নারী।
উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি ৪৮ ঘণ্টা বাড়াতে একমত হওয়ার পর মঙ্গলবার ছিলো হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাময়িক যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিন।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এ পর্যন্ত গাজা থেকে মোট ৮১ জন জিম্মি মুক্তি পেয়ে ইসরায়েলে ফেরত গেছেন, এর মধ্যে ৬১ জন ইসরায়েলের নাগরিক এবং তারা সবাই নারী ও শিশু।
হামাসের জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে যেসব বর্ণনা পাওয়া গেছে তাতে তাদের কোন ভূগর্ভস্থ জনবহুল জায়গায় রাখা হয়েছিলো, প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার এবং বিছানা হিসেবে ব্যবহারের জন্য বেঞ্চ দেয়া হয়েছিলো বলে জানা যায়।
ওদিকে চুক্তির আওতায় যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে আগে পাথর ছোঁড়া থেকে শুরু করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পর্যন্ত আনা হয়েছিলো।